গঙ্গার দুই তীরে ছড়িয়ে থাকা রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের দুটি ঐতিহাসিক স্থান আজও শ্রদ্ধা ও স্মৃতিরক্ষার এক অনন্য নিদর্শন। পূর্ব তীরে কাশীপুর উদ্যানবাটী, যেখানে শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর জীবনের শেষ ২৪৮ দিন অতিবাহিত করেছিলেন। অপর দিকে পশ্চিম তীরে অবস্থিত নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়ের বাগানবাড়ি, যা শ্রীরামকৃষ্ণোত্তর যুগে বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রয়েছে। বর্তমানে ‘পুরনো মঠ’ নামে পরিচিত এই বাড়িটি জননী সারদাদেবী, ভগিনী নিবেদিতা ও স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতি আগলে রেখে দাঁড়িয়ে আছে। এখানেই বাস করে শ্রীমা সারদাদেবী আধ্যাত্মিক আনন্দ লাভ করেছিলেন, যা দেখে স্বামীজি ভবিষ্যতে বেলুড়ে শ্রীমায়ের জন্য স্থায়ী আবাস গড়ে তোলার সংকল্প করেছিলেন। রামকৃষ্ণ মঠ, কাশীপুর এই ঐতিহাসিক বাগানবাড়ির প্রাথমিক মালিক ছিলেন এক ইংরেজ, তবে ঊনবিংশ শতকের সত্তরের দশকে বিশিষ্ট আইনজীবী নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে এটি ভারতীয় মালিকানায় আসে। কলকাতার বিডন স্ট্রিটে বসবাসকারী নীলাম্বর ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের প্রধান বিচারপতি এবং পরে সে রাজ্যের রাজস্ব সচিব ও প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন। প্রায় দুই দশক কাশ্মীরে কাটানোর পর তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন এবং ১৮৯৬ সালে কলক...